তুষার আহাম্মেদ – মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় জমিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শাহপরান নামের স্হানীয় এক প্রভাবশালী ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন প্রবাসীর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন নামে ভুক্তভোগী।
সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদনপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। চাঁদাবাজদের হুমকিতে চরমভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে প্রবাসীর পরিবারের সদস্যরা। চেয়েছেন পুলিশি নিরাপত্তা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, ফ্রান্স প্রবাসী মো. আখতার হোসেন খোকনের ক্রয়কৃত জমিতে নির্মাণ কাজ করতে গেলে স্থানীয় মৃত বাদশার মিয়ার ছেলে শাহপরান দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে তার দাবিকৃত দুই লাখ টাকার মধ্যে আতঙ্কিত হয়ে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দেন অভিযুক্ত চাঁদাবাজ শাহপরানকে।
কিন্তু চাঁদার বাকি দেড় লাখ টাকা না দেয়ায় ভুক্তভোগী জমিতে কাজ করাতে দিচ্ছেনা। এছাড়াও তার বাসার ব্যাচেলার ভাড়াটিয়াদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে শাহপরানের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন,১৯৯৮ সালে স্থানীয় আফসার উদ্দিন হাজী, রকিব হাজী ও হরুন হাজী থেকে ৪২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন আমার স্বামী মো. আখতার হোসেন। এই জমিতে তার রকেট রাইস মিল ছিলো। এরপর রাইস মিলটি বন্ধ হয়ে গেলে জমিটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থা ছিল। পরে দেড় মাস আগে সেই জমিতে নির্মাণ কাজ শুরু করলে এলাকার জমির দালাল ও চিহৃিত চাঁদাবাজ শাহপরান, তার ছেলে শাকিল ও বিমল কর্মকার সহ কয়েকজন আমার ক্রয়কৃত জমি নিজেদের উল্লেখ্য করে দুই লাখ চাঁদা দাবি করেন।
দাবিকৃত চাঁদার টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করলে তারা বাকি দেড় লাখ টাকা পরিশোধের জন্য হুমকি ধামকি দেন। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছি। তিনি এসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাজের নিরীহ মানুষদের রক্ষার আহবানও জানান।
তবে চাঁদা দাবির বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে অভিযুক্ত শাহপরান বলেন, এখানে মাদ্রাসা রয়েছে। সেই মাদ্রাসার রাস্তা বন্ধ করে সাবিনা ইয়সমিন দেয়াল নির্মান করছেন। তাই তাকে বাঁধা দেয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি বিষয়টি ভিত্তিহীন।
মোবা-০১৭১৯২৮২৬১৪